Chas কথা
নিমডি গান্ধী আশ্রম
ও
বননবগ্রাম বাউল আশ্রমের
চাষবাস
লেখক :- প্রবীর কুমার ব্যানার্জী
নিমডি :
পুরুলিয়া থেকে জামশেদপুর অভিমুখে প্রায় ৪৫ কিঃ মিঃ দূরে ঠিক দলমা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত নিমডি গান্ধী আশ্রম । এটি বর্তমানে বাংলা ও ঝাড়খন্ড এর বর্ডার এরিয়া । আশ্রমটি প্রায় ৬০ একর জমির উপর অবস্থিত । পূর্বে এই আশ্রম থেকে শিশুদের পাঠদান, স্থানীয় মানুষদের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক পরিষেবা প্রদান করা হত। বহু মানুষ সেই সব পরিষেবা থেকে উপকৃত হত। বর্তমানে বাংলানাটক ডট কম এর উদ্যোগে সারা বৎসর ধরে বিভিন্ন কর্মশালা যেমন - ছৌ নাচ , ঝুমুর নাচ ও গান , সাবাই ঘাস – এই সব প্রশিক্ষণ আয়োজিত হয়ে থাকে । এছাড়া প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের জন্য আশ্রমের মধ্যে নিরিবিলি পরিবেশে ৯ টি সুন্দর কটেজ বানানো হয়েছে । দোল বা বসন্ত উৎসব প্রতি বৎসর আয়োজিত হয়ে থাকে যা প্রায় সকলের কাছে সমাদৃত ও প্রশংসিত ।
ঠিক একইভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলার বননবগ্রামে ১.৩ একর জমি নিয়ে তৈরি হয়েছে বাউল ফকির আশ্রম ( Maintained and operated by Banglanatak dot com ) । রয়েছে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে জৈব পদ্ধতিতে চাষবাস , পুকুর ও বিভিন্ন ফলের গাছ যা প্রতিটি মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু । বাউলপ্রেমী মানুষদের আনাগোনা রয়েছে প্রায় সারা বছর ধরে । সকলেই সাধুবাদ জানায় এই উদ্যোগকে । শহরের ব্যস্ত কোলাহলে প্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের জীবনের । আনন্দের রসদ খুঁজে পেতে মানুষ ছুটে আসে এক নির্জন প্রকৃতির খোঁজে । বননবগ্রাম বাউল আশ্রম তার এক সুন্দর উদাহরণ| এখানে বিভিন্ন রকমের স্থানীয় শাকসবজি যেমন - বেগুন, টমেটো , পেঁয়াজ , গাজর , ক্যাপসিকাম , লঙ্কা , ঢ্যাঁড়স, বিট , ফুলকপি , বাঁধাকপি, লাউ , কুমড়ো , ঝিঙে ইত্যাদি লাগানো হয়ে থাকে । কোন লাভজনক উদ্দেশ্যে নয় , উৎপাদিত সকল শস্য কর্মী, স্থানীয় শিল্পী ও গ্রামবাসীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় । বহু স্থানীয় মানুষ এই জৈব চাষ দেখে অনুপ্রাণিত । তারাও প্রয়োজন মতো নিজেদের জমিতে জৈব চাষে আগ্রহী এবং অনেকেই তা সফল ভাবে রূপায়ণে সক্ষম ।
Chas কথা- আশা করি বহু মানুষকে জৈব চাষে আগ্রহী করে তুলবে । ক্ষুদ্র , মাঝারি ও প্রান্তিক চাষিও খুঁজে পাবে সেই সব তথ্য যা দিয়ে স্বল্প খরচে জমিতে জৈব চাষ করা সম্ভব ।এছাড়াও যারা ঘরের ছাদে, টবে চাষ করেন বা Kitchen garden করেন তাদেরও সাহায্য করবে বলে আশা রাখি ।
যেকোন চাষে জমি তৈরি করে নেওয়া একটি প্রাথমিক কাজ । প্রয়োজনে soil test করে নেওয়া ভালো। এতে মাটির পুষ্টিগুণ ও pH content ( মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারত্ব ) বোঝা যায় । তারপর জমিতে লাঙ্গল দিয়ে ভালো করে জমির ঘাস পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং মাটিকে নরম ও ঝুরঝুরে করে তুলতে হবে । মাটির ভিজে বা আদ্রভাব চলে গেলে তার সঙ্গে শুকনো গোবর সার বা কেঁচো সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে । আমাদের মনে রাখতে হবে কেঁচো মাটির উর্বর শক্তি ( Fertile power ) বৃদ্ধি করে ।
তাই মাটির মধ্যে কেঁচো থাকাটা জরুরি । নিমডি গান্ধী আশ্রমে আমাদের নিজস্ব vermin compost unit আছে । নিমডি ও বননবগ্রাম এ আমরা 1:1 অনুপাতে কেঁচো সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করে থাকি । মাটি তৈরি হয়ে যাবার পরে প্রয়োজনমতো bed তৈরি করে বীজ বা গাছ ( চারা গাছ ) লাগানো যেতে পারে। এই ভাবে জমির প্রাথমিক কাজ করা যেতে পারে ।অনেক সময় গাছে ছত্রাক বা fungal infection দেখা দেয় । এটি প্রায় সব গাছেদের একটি common disease, এটি হলে আমরা সাধারণত নিমপাতা জলে ফুটিয়ে তার সঙ্গে গোমূত্র ও জল মিশিয়ে ১:১:৯ ( অর্থাৎ ১ ভাগ নিমপাতার রস : ১ ভাগ গোমূত্র : ৯ ভাগ জল ) অনুপাতে স্প্রে করে থাকি। এটি একটি ছত্রাক দূরীকরণের ঔষধ ( Neemarin ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে ছত্রাক ও পোকা উভয় দূর হতে সাহায্য হবে ।আমি এখানে bevistin use or spray র কথা বললাম না । এটি একটি chemical ingredient | অনেকেই এটি ছত্রাক বা fungal infection দূর করার জন্য ব্যবহার করে থাকেন |
যেকোন বীজ / চারা বপন করার পূর্বে তা শোধন করে নেওয়া খুব জরুরি । এতে বীজ বা চারা নষ্ট কম হয় । আমরা সঞ্জীবনী ব্যবহার করে বীজ বা চারা শোধন এর কাজটি করতে পারি ।সঞ্জীবনী তৈরি করার জন্য ১ ভাগ গোবর , ১ ভাগ গোমূত্র ও ২ ভাগ জল একসাথে মিশিয়ে একটি মাটির পাত্রে রাখতে হবে প্রায় ৭ - ১০ দিন। দিনে ২ বার এটি নাড়তে হবে ( Clock wise & Anti clock wise ) | এটি ১০ দিন পর পূর্ণ মাত্রায় তৈরি হয়ে যায় । বীজ শোধন এর ক্ষেত্রে ১ ভাগ মিশ্রণ ও ৭ ভাগ জল মিশিয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে । তারপর ঐ মিশ্রণে আধ ঘন্টা বীজগুলি ভিজিয়ে রাখতে হবে । আধ ঘন্টা পরে বীজ গুলি ছেঁকে শুকোতে হবে । এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যেন সরাসরি সূর্যের তাপ না লাগে । এই ভাবে বীজ শোধন করে বপন করা যেতে পারে।
চারা শোধন এর ক্ষেত্রে ১ ভাগ মিশ্রণ ও ৭ ভাগ জল মিশিয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে । এক্ষেত্রে চারা গাছ শিকড় পর্যন্ত ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপর বপন করা যেতে পারে ।
বেগুন চাষ
এটি August মাস এর প্রথম সপ্তাহে লাগানো সবথেকে ভালো । যদিও ইদানিং এই চাষ সারা বছর হয়ে থাকে ।২৫- ৩০ দিনের চারা লাগানো সবথেকে ভালো । একটি চারা থেকে আর একটি চারার দূরত্ব হবে ২/১.৫ ফুট । এতে গাছের ফলন ও বৃদ্ধি দুটোই ভালো হয় । লাগানোর ১৫ -২০ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । ৪- ৫ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । গাছের বয়স ৩০ -৩৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে ভেলী তৈরি করতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোন রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৫০ -৬০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে ।
টমেটো চাষ
এটি August মাস এর প্রথম সপ্তাহে লাগানো সবথেকে ভালো । যদিও ইদানিং এই চাষ সারা বছর হয়ে থাকে ।২৫- ৩০ দিনের চারা লাগানো সবথেকে ভালো । একটি চারা থেকে আর একটি চারার দূরত্ব হবে ২/২ ফুট । এতে গাছের ফলন ও বৃদ্ধি দুটোই ভালো হয় । লাগানোর ১৫ -২০ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । ৪- ৫ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । গাছের বয়স ৩০ -৩৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে ভেলী তৈরি করতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোনো রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৫০ -৬০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে।
ফুলকপি চাষ
এটি July এর শেষে বা August মাস এর প্রথম সপ্তাহে লাগানো সবথেকে ভালো । যদিও ইদানিং এই চাষ সারা বছর হয়ে থাকে । ২০- ২৫ দিনের চারা লাগানো সবথেকে ভালো । একটি চারা থেকে আর একটি চারার দূরত্ব হবে ১২/১০ ইঞ্চি । এতে গাছের ফলন ও বৃদ্ধি দুটোই ভালো হয় । লাগানোর ১৫ -২০ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । ৪- ৫ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । গাছের বয়স ৩০ -৩৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে ভেলী তৈরি করতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোন রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৭০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে।
বাঁধাকপি চাষ :
এটি July এর শেষে বা August মাস এর প্রথম সপ্তাহে লাগানো সবথেকে ভালো । যদিও ইদানিং এই চাষ সারা বছর হয়ে থাকে । ২০- ২৫ দিনের চারা লাগানো সবথেকে ভালো । একটি চারা থেকে আর একটি চারার দূরত্ব হবে ১২/১০ ইঞ্চি । এতে গাছের ফলন ও বৃদ্ধি দুটোই ভালো হয় । লাগানোর ১৫ -২০ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । ৪- ৫ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । গাছের বয়স ৩০ -৩৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে ভেলী তৈরি করতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোনো রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৮০ - ৯০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে ।
ঢ্যাঁড়স চাষ
এটি বছরে ২ বার লাগানো যেতে পারে । June প্রথম সপ্তাহে এবং February তে । এটি বীজ শোধন করে বপন করতে হবে । বপন করার সময় একটি বীজ থেকে আর একটি বীজের দূরত্ব হবে ২৪/১০ ইঞ্চি । এতে গাছের ফলন ও বৃদ্ধি দুটোই ভালো হয় । লাগানোর ২০ -২৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে। ৪- ৫ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । গাছের বয়স ৩০ -৩৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে ভেলী তৈরি করতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোন রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৫০ - ৫৫ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে।
শসা চাষ
এটি মূলত গ্রীষ্মকালীন ফসল । যদিও সারা বছর ধরে এর চাষ করা যেতে পারে । ৬০ দিনের মধ্যে এর ফলন আসে । এই ব্যবধানে আমরা যেকোন সময় লাগাতে পারি । বর্ষার সময় এটি মাচা করে লাগানো ভালো । এতে ফল বর্ষার জলে নষ্ট হয় না । এটি বীজ শোধন করে বপন করতে হবে । বপন করার সময় একটি কিয়ারী থেকে আর একটি কিয়ারীর দূরত্ব হবে ৩/৩ ফুট। প্রতি কিয়ারীতে ২টি করে বীজ বপন করতে হয় । লাগানোর ১২ -১৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । ৩- ৪ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । গাছের বয়স ৩০ -৩৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে ভেলী তৈরি করতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোন রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৫০ - ৬০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে।
NB:- মনে রাখতে হবে, ঠিক একই পদ্ধতিতে করলা , ঝিঙে , তরমুজ লাগানো যেতে পারে । এগুলি প্রায় একই জাতীয় ফসল ।
ক্যাপসিকাম/লঙ্কা চাষ
সারা বছর ধরে এর চাষ করা যেতে পারে । ৬০ দিনের মধ্যে এর ফলন আসে । এই ব্যবধানে আমরা যেকোন সময় লাগাতে পারি । শুরুতে এর জন্য Seed bed তৈরি করে নিতে হবে । এটি বীজ শোধন ও চারা শোধন করে বপন করতে হবে । ২৫- ৩০ দিনের মধ্যে seed bed থেকে তুলে চারা শোধন করে ১.৫/১ ফুট দূরত্ব হিসেবে চারা বসাতে হবে । লাগানোর ১৫ -২০ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । ৩- ৪ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । গাছের বয়স ৩০ -৩৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে ভেলী তৈরি করতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোন রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৫০ - ৬০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে ।
বিট /গাজর /মুলো চাষ :
জমি ভালো ভাবে তৈরি করতে হবে । কীভাবে জমি তৈরি করা যায় তা আগেই বর্ণনা করা হয়েছে। সারা বছর ধরে এর চাষ করা যেতে পারে । ৪০ -৪৫ দিনের মধ্যে এর ফলন আসে । এই ব্যবধানে আমরা যেকোন সময় লাগাতে পারি । শুরুতে এর জন্য ভেলী তৈরি করে নিতে হবে । মনে রাখতে হবে, বীজ বপন করার পূর্বে সঞ্জীবনী দিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে। ৩ -৪ ইঞ্চি দূরত্বে ভেলীর উপর ১ টি করে বীজ বপন করতে হবে।প্রয়োজনমত জল পাটান দিতে হবে । লাগানোর ২০ -২৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । ৩- ৪ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । গাছের বয়স ৩০ -৩৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে ভেলী তৈরি করতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোন রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৫০ - ৬০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে ।
মটর শুঁটি চাষ
এটি মূলত শীতকালীন ফসল । মটরশুঁটি লাগানোর ভালো সময় October মাস । ৫০ -৬০ দিনের মধ্যে এর ফলন শুরু হয় । জমি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে । কীভাবে জমি তৈরি করা যায় তা আগেই বর্ণনা করা হয়েছে । মনে রাখতে হবে, বীজ বপন করার পূর্বে সঞ্জীবনী দিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে। ১২/৬ ইঞ্চি দূরত্বে লাইন করে ১ টি করে বীজ বপন করতে হবে।প্রয়োজন মতো জল পাটান দিতে হবে । গাছ বেরোনোর ২০ -২৫ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । গাছের বয়স ৩০ দিনের মধ্যে ভেলী তৈরি করতে হবে । ৩- ৪ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোন রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৫০ - ৬০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে ।
ভুট্টা চাষ :
জমি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে । কীভাবে জমি তৈরি করা যায় তা আগেই বর্ণনা করা হয়েছে । মনে রাখতে হবে, বীজ বপন করার পূর্বে সঞ্জীবনী দিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে। ১২/৮ ইঞ্চি দূরত্বে লাইন করে ১ টি করে বীজ বপন করতে হবে। প্রয়োজন মতো জল পাটান দিতে হবে । গাছ বেরোনোর ১৫ -২০ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । গাছের বয়স ৩০ দিনের মধ্যে ভেলী তৈরি করতে হবে । ৩- ৪ দিন পর জল পাটান দিতে হবে । ভেলী করে নেওয়ার পরে ৩৫ -৩৭ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় তরল শস্যগব্য সার ( Sasyogobyo ) প্রয়োগ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, গাছে যেন কোন রোগ না ধরে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৬০ - ৭০ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে ।
পেঁয়াজ চাষ
জমি ভালো ভাবে তৈরি করতে হবে । কীভাবে জমি তৈরি করা যায় তা আগেই বর্ণনা করা হয়েছে । পেঁয়াজ লাগানোর জন্য বর্গাকার জমি তৈরি করে নেওয়া ভালো । এতে জল পাটান ভালো ফলন হতে সাহায্য করে। চারা বপন করার পূর্বে সঞ্জীবনী দিয়ে শোধন করে নিতে হবে। ৪/৬ ইঞ্চি দূরত্বে লাইন করে ১ টি করে চারা বপন করতে হবে। প্রয়োজনমত জল পাটান দিতে হবে । ১৫ -২০ দিনের মধ্যে গাছের গোড়ায় আগাছা তুলে মাটি হালকা করে গোবর সার বা Compost সার ব্যবহার করতে হবে । ছাই ( Ash) এর ব্যবহার এক্ষেত্রে খুব উপকারী । এতে মাটি হালকা থাকে ও পেঁয়াজ বড় হতে সাহায্য করে । প্রয়োজন মতো জল পাটান দিতে হবে । রোগ বা পোকা এলে আমরা দশোপর্ণী কীটনাশক স্প্রে করতে পারি । গাছের রং ধরে রাখার জন্য ও অতিরিক্ত ফলনের জন্য ভিটামিন হিসেবে পঞ্চগব্য স্প্রে করতে পারি । ৭০ - ৭৫ দিনের মধ্যে গাছের ফলন শুরু হবে ।
কিছু তরল জৈব সার তৈরি করার পদ্ধতি
শস্যগব্য :
প্রয়োজনীয় উপাদান – গোবর, গোমূত্র, বিভিন্ন সবজির খোসা ও জল
১ভাগ গোবর,, ১ভাগ গোমূত্র, ১ ভাগ বিভিন্ন সবজির খোসা, ৩ ভাগ জল ভালোভাবে মিশিয়ে ১০- ১২ দিন একটি মাটির পাত্রে রাখতে হবে । প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যে দিনে ২ বার করে নাড়তে হবে clock wise and anti clock wise | দ্রব্য টি তৈরি হবার পরে ১লিটার মিশ্রণ এর সাথে ১০ লিটার জল মিশিয়ে গাছের গোড়ায় স্প্রে করতে হবে । মনে রাখতে হবে গাছের বয়স ২১ দিন হলে তবেই এই তরল সার ব্যবহার করা যাবে । এটি গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
পঞ্চগব্য :
প্রয়োজনীয় উপাদান – গোবর, গোমূত্র, দুধ,, দই, ঘি
৫টি উপাদান দিয়ে তৈরি বলেই এর নাম পঞ্চগব্য ।
৫ ভাগ গোবর, ৩ ভাগ গোমূত্র,, ২ ভাগ দুধ, ২ ভাগ দই, ১ ভাগ ঘি ভালোভাবে মিশিয়ে ১০- ১২ দিন একটি মাটির পাত্রে রাখতে হবে । প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যে দিনে ২ বার করে নাড়তে হবে clock wise and anti clock wise | দ্রব্যটি তৈরি হবার পরে ১লিটার মিশ্রণ এর সাথে ৯০ লিটার জল মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে । গাছের বয়স ৩০ দিন হওয়ার পরে প্রতি ১৫দিন অন্তর মাসে ২ বার ব্যবহার করা যেতে পারে । এই মিশ্রণটি গাছের ফুল ও ফল আসার সময় স্প্রে করলে খুব উপকার পাওয়া যায় ।
তরল জৈব কীটনাশক তৈরি করার পদ্ধতি
দশোপর্ণী :
প্রয়োজনীয় উপাদান - ১০ রকমের পাতা (তার মধ্যে নিমপাতা আবশ্যিক )
দশোপর্ণী একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কীটনাশক । এটি তৈরি করার জন্য তেমন কোনো ব্যয় হয় না। অতি অল্প খরচে তৈরি করা সম্ভব । ১০ রকম এর পাতা সম পরিমাণে নিয়ে ( approx 10 kilo ) একসাথে থেঁতলে সম পরিমাণ জল দিয়ে আগুনে ফুটিয়ে প্রায় অর্ধেক তৈরি করতে হবে ।অর্থাৎ ১০ কিলো পাতা হলে ১০ কিলো জল দিয়ে একসঙ্গে ফুটিয়ে প্রায় ১০ কিলো দ্রবণ তৈরি করতে হবে। ঠান্ডা হবার পরে পাতাগুলি ছেঁকে ফেলে দিতে হবে । তারপর ১লিটার দশোপর্ণী, ১ লিটার গোমূত্র ,৮ লিটার জল একসঙ্গে মিশিয়ে গাছে ব্যবহার করতে হবে । এটি গাছে রোগ ও পোকা মারার মহৌষধ।
Sahaj,saboleel,sundar o swachha bhashae lekha Pore bhalo laglo
ReplyDelete